বন্দি তেইশটা বছর,এলোমেলো হিজিবিজি মাথার ভিতর
রেলেকাটা লাশ, তারার দিকে তাকিয়ে আছে,
ছবির বদলে দেওয়ালে ফিরল টিকটিকি
বই ঘেঁটে আমি ছিঁড়ছি পাতা-বিক্ষিপ্ত রাগ
ফুটপাতে মাথা রেখে নেশায় ঢুলছে স্বপ্নেরা৷
গদ্যের হাসপাশ; ফার্ণের পাহাড়ে লুকিয়ে অনেক রাত হল৷
ঝালমুড়ি মাখা 'বনলতা সেন', ন্যাংটা গরানবনে শুয়োরে ছিঁড়ছে,
নোঙর ফেলা জাহাজ- প্রেমিক ছটপট করে
পলাশবনে কয়লাখনি ধসে
প্রিয়া; পলাশগাছ, সব রক্ত পোকামাকড়ে নিঃশেষ৷
প্রিয়ার কপালে ঝুঁকে পড়া চুল, চুলের গন্ধে অভিকর্ষটান
দূর্ণীবার ঘর্ষণে জলপরী পচে
গোধূলীবেলা ছাইমাখা মেঘ,
নৌকা বিহ্বল গাঢ় রঙে বিষে, জলে নেমে আগাছা শ্যাওলা৷
গ্রীবা থেকে স্তন পচন ধরে
পুরুষত্ব বেজে ওঠে৷
পৃথিবী,মঙ্গল,সন্তান-সন্ততি চাঁদ
অসুখে কাঁথা কম্বল জড়িয়ে ভুগছে জ্বরে,
মশা-মাকড়শার ফাঁদে কিংবা গাঁজার ধোঁয়ায় উপলব্ধি৷
পাথর বালি স্তরে স্তরে বেড়ে অন্ধকার করে,
যারা মরে কার্গেলে কিংবা মাটি খেয়ে৷ দিনমজুর
কি কঠোর কষ্ট বারুদ খেলায়,
সব ফুল এক করে প্রার্থনা: মৃত্যু জানে মৃত্যুর ক্ষতি
মাটিতে রেপ হয়, হাতের শেকল নয়; আকাশটাই বন্দি৷
ধ্বংসাত্মক চুরমার করা মেশিন-রক্ত ফ্যাকাসে করে
জরায়ুতে সাহস ছিল, মুক্ত হবার জেদ
তারপর, খিদে তুষছে ফেনারাশি, পুড়ে খাঁক সবুজ পাহাড়৷