১
মেয়েটা এমন করবে ভাবতে পারেনি কিশলয় বাবু।কোনো কিছুরই ত তিনি অভাব রাখেন নি। লাস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনে চাকরিও সে পেয়েছিল। বিয়ের জন্য ছেলেও দেখতে শুরু করেছিলেন কিশলয়বাবু আর তার স্ত্রী।মেয়ে বিয়ে করতে ছিল অরাজি। কাল রাত্রে বিয়ে নিয়ে রাগারাগির পর,আজ সকালে উঠে দেখে একটি চিঠি লিখে মেয়ে বেরিয়ে গেছে। মেয়ের পছন্দ ছিল একজনকে সেটা আজই জানল কিশলয়বাবু। রাগে আর মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখেননি উনি।
২
এত রাতে স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় যাবেন কিশলয়বাবু। বয়স ত তারও হয়েছে। বুকের যন্ত্রনায় ছটফট করছে স্ত্রী। ডাক্তারের চেম্বার অনেক দূর,এই অবস্থায় গাড়ি ছাড়া উপায় নেই। মেয়েটাকে বড় করেও,আজ সে পাশে নেই।একটা জামাই হলে,সেও এই বিপদে সাহায্য করতে পারত।ছেলে থাকার সুবিধা গুলো তিনি বুঝতে পারছেন।
এমনসময় একটা গাড়ির আলো তার চোখে লাগল। কলকাতা পুলিশ। গাড়িতে মহিলা পুলিশ, সাব ইন্সপেক্টর।সে বলল,-"আপনার কি হয়েছে, এত রাতে একা রাস্তায়?"কিশলয়বাবু সব বলার পর,সেই পুলিশ পুলিশের গাড়িতে তুলে ডাক্তারখানায় পৌঁছে দিল।গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হাত দিয়ে নমস্কার করল সাব ইন্সপেক্টর। কিশলয়বাবু খুশি হয়ে বললেন,"বেঁচে থাক মা, আজ যদি মেয়েটা থাকত আমার...তোমায় আশীর্বাদ করলাম তুমি অনেক বড় পুলিশ হও।"
কিশলয়বাবু ডাক্তারখানায় ঢুকে যাবার পর,সাব ইন্সপেক্টর এর ফোন এল, একটু দূরে গিয়ে বলল"ভাগ্যিস, ঠিক সময় তুমি ফোন করেছিলে, তাই তো বাবাকে আমি ঠিক ডাক্তারখানায় পৌঁছে দিতে পারলাম,আমাদের বিয়েতে না এসেও অজান্তে তিনি আশীর্বাদ টা কিন্তু উনি আমাকে আজ করে দিলেন।"