আশা ছিলো অন্ধকারের চাদরটা সরে গেলে
দেখা দেবে ঝকঝকে একটা সোনালী দিন ৷
আশা ছিলো অবিরাম এই ভয়
আর মৃত্যুমিছিল একদিন শেষ হবে , তখন শিশুদের দল গোল হয়ে বসে
আবার শুনবে অসমাপ্ত রূপকথার গল্প ৷
হারিয়ে যাওয়া সব বিশ্বাসগুলি অচেনা পথিকের কাঁধে হাত রেখে হেঁটে যাবে কাশফুলের পাশ দিয়ে...
জীবনের পাত্র ভরে উঠবে কানায় কানায়
উপছে পড়া সুখ ছড়িয়ে পড়বে রুক্ষ প্রান্তরে৷
বিন্দু বিন্দু দূঃখগুলি যতটা জমেছে
সুখ আসবে তার থেকে আরো অনেক বেশী ৷
কবি দেখলেন সেই ধ্বংসের পাশে উড়ে যাচ্ছে
সন্ধ্যার শকুন , কবরে রেখে যাওয়া শুকনো ফুল৷
তবুও পাগল কবি এইসব হতাশা, রক্ত
আর ভগ্নস্তুপে খুঁজবেন ছন্দের ভাঙা কাঁচ,
নড়বড়ে শব্দের সাঁকো নির্মানের স্বপ্ন । স্বপ্ন যদি না মেলে তখন নিজের রক্ত দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন নিজের দুহাত। এমন বিপন্ন সময়ে
শব্দহীন ছায়ারা পরম আদরে জড়িয়ে রাখবে
কবির শরীর...কবি বলবেন --
তবুও অনন্ত জাগবে...
দিনের শেষে নরম আলো এসে কবিকে বলবে
আমাদের আবার দেখা হবে।