স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেবের বিবাহ হয়েছিল, হিমালয়ের অপরূপ প্রকৃতির কোলে ‘ত্রিয়ুগীনারায়ন’ মন্দিরে। মাতা সতীর শরীরের ৫১ খন্ড তখন ছড়িয়ে রয়েছে ধরিত্রীর বিভিন্ন স্থানে। মহাদেব স্বয়ং স্ত্রী বিয়োগে কাতর ও প্রবল শোকে আচ্ছন্ন। দিন যায় , সময় যায় দ্রুত।
রাজাধিরাজ হিমবাহর ঘরে জন্ম নিয়ে তখন ক্রমে বয়স বাড়ছে পার্বতীর। একেবারে ছোট্ট থেকে শিব ভক্ত পার্বতী। অত্যন্ত স্নেহে পালিত কন্যার শিব ভক্তি ও আরাধনার কথা কানে গেছে রাজার। তিনি জানেন শিব তার স্ত্রী বিরহে অস্থির। অথচ তারই কন্যা শিব স্তুতিতে এতই আগ্রাসী যে গৌরী কুন্ডে শিবের তপস্যা শুরু করলেন।
প্রকৃতি তার সৌন্দর্য যেন এখানে হস্ত উপুর করে দিয়েছে। কুন্ডের জলে বড় বড় বৃক্ষের ছায়া। পার্বতীর তপস্যায় অস্থির হয়ে রাজা হিমবাহ দ্বারস্থ হলেন ঋষিকুলের। ঋষিকূল শিবের দ্বারস্থ হলেন। কিন্তু সতী বিরহে উদাস ও উনমনা শিবকে পার্বতীর তপস্যার কথা বলতে বস্তুত ভয়ই হলো তাদের। তারা নিরাশ হয়েই ফিরলেন। নিরাশ করলেন রাজাকে।
দেবাদিদেব শিবের কোনও কিছুই অজানা নয়। পার্বতীর অনমনীয় তপস্যায় একদিন এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ সেজে ছদ্মবেশে শিব চলে এলেন তপস্যারতা পার্বতীর কাছে। ধ্যান ও তপস্যার কথা নিজমুখে শুনতে চাইলেন। শিব নিয়ে উচ্ছ্বসিত মেয়েটিকে এবার ভালো লেগে গেল দেবাদিদেবের।
হিমালয়ের ওই অসামান্য সুন্দর পরিবেশে শিব ও পার্বতীর প্রেম কথা পরিণিতি পেয়েছিল বিবাহে। হিমালয়ের কোলে ত্রিয়ুগীনারায়ন মন্দিরে ভগবান বিষ্ণু ও ব্রহ্মার তত্ত্বাবধানে বিয়ে হয়েছিল দেবাদিদেবের। বিশ্বকর্মা সাজিয়েছিলেন মণ্ডপ। দেবগুরু বৃহস্পতি পৌরোহিত্য করলেন এই অটুট বিবাহ বন্ধনের