সৎ সঙ্গ মানুষকে চেতনা দেয়, মানসিক উন্নতি ঘটায়-
কথাটা বইতে আছে - কাল উপলব্ধি করলাম।
আবেগ, ক্ষণিক ভালোলাগার মুহূর্ত, রোজকার পারিশ্রমিক সকাল সন্ধ্যা - একই ভাবে যাচ্ছিল।
মন খারাপের রেশটা তবু একই........
এত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রিয় মানুষের অভাব আমাদের কাঁদিয়ে দেয় -
কিছু পাওয়ার আশায় অপেক্ষারত মন আজ কত বিষন্নতার শিকার।।।
খুব সহজ লাগে চারপাশে এগুলো শুনতে -
আমরা এভাবে একে অপরকে
বিষণ্ন করে তুলি।
কিন্তু কিছু মানুষ আছেন - যারা সব কষ্ট জয় করে, অপরের জন্য.....
নিজের জীবনের সবটুকু ভালো দিয়ে।
আবার কিছু মানুষ যারা ওই ওঠাপড়া, সুখ দুঃখের ভেলায় কি করে হাসিমুখে মনের আকাশকে আরও সাদা করা যায় তাই শেখায়।
এরকম এক মানুষ আমিও পেলাম....
বিশ্বাস করি যে , সে আমার পরম কাছের যার সাথে এক অনাবিল আত্মিক যোগ আছে।।
বুঝলাম - মানুষের সাথে মানুষের আত্মিক যোগ একমাত্র হৃদয়ের সেতুবন্ধন।
আর সেই "বন্ধন" ঈশ্বরের নির্দেশ ছাড়া অসম্ভব।
তিনি বোঝালেন, ঈশ্বর কোনো বিষন্নতা সৃষ্টি করেন নি।
তবে আমাদেরও কোনো হাত নেই তার অপূর্ব সৃষ্টিকে বিসন্ন করার।
তাই মনমরা না হয়ে, মন কে কত কি পেয়েছি বোঝানো উচিত।
চারপাশের আমার টা কিছু নয়, সেই অনুভূতি থাকা আবশ্যক।
যাঁরা জীবনে শুধুই দিয়েছেন, না পাবার আশা রেখেই, তাদের মন কত স্থির।
আর আমরা তো জীবনে কি পাইনি তাই হিসেব করে কষ্ট পাই।
আর সেই সুখের ইমারতে একটু ঠুনকো আঘাত লাগলেই চুরমার করে দিই মন টাকে।।।।
আছড়ে পড়ি সেই ঘোর বিষন্নতার রাজ্যে।
মন আর হৃদয় তো ঈশ্বরের দান- তাই তাকে কষ্ট দেবার কোনো অধিকার নেই আমার।
বরং তার হাতে নিজেকে ছেড়ে দিয়ে পরম তৃপ্তি পাওয়াই জীবনের স্বার্থকতা।।।।