অশ্বথ

ছায়াতে তোমার প্রতিনিয়তই ক্লান্তি রোগের পথ্য, 

হাজার বছর দাঁড়িয়ে নীরবে বৃদ্ধ হে অশ্বথ। 

প্রখর রৌদ্রে ভাঙা নদী তীরে 

জ্যোৎস্নাস্নাত স্বচ্ছ তিমিরে 

দাঁড়ায়ে একাকী, ডালে কত পাখী উড়ে এসে বসে নিত্য, 

নুয়েছে শরীর বয়সের ভারে, তবু আজও স্থির চিত্ত।

 

সূর্যের সাথে বিষম যুদ্ধ অনাদি কাল হতে, 

ঐটুকু ছাড়া আর সবই জয় করেছে সে পৃথিবীতে।

এই মধ্যের পেয়েছে ইজারা 

অশ্বথতলের ঐ জমি ছাড়া 

পাতালে গেড়েছ শিকড় তোমার ওপরে শক্ত গুঁড়ি, 

মেলে ডালপালা, সবুজপত্র ছায়াকে করেছ চুরি। 

গুটিসুটি মেরে আছ চুপ করে শক্ত করেছ মুঠি. 

শ্রাবণ মাসের আকাশ তোমাকে দিয়ে গেছে লাল চিঠি। 

হেমন্তের হিমেল বাতাস 

দিয়াছে প্রাণের পূর্ণ আভাস 

বসন্তের কোকিল পেয়েছে তোমার পরশসিন্ধু, 

শরৎকালের ঝরা কাশফুলে পড়েছে শিশিরবিন্দু।।