কোলাহল থেকে দূরে, নিঃঝুম দুপুরে,
প্রাণ ও প্রকৃতির প্রতীতি।
অহরহ লিখে যাওয়া, সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়া,
আবেগ, আনন্দ, প্রেম, কাব্য-গীতি।
উন্মুক্ত রঙ্গমঞ্চে, প্রাণবন্ত দ্বৈত ক্রৌঞ্চে,
নিরিবিলিতে করে খেলা।
সুরধ্বনি আর স্বর বোঝেনা আপন-পর,
বর্ণের মিলনমেলা।
কত যেন চেনা সুরে, সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে,
শিহরিয়া যায় রসসিন্ধু।
কখনও ভাবের ঘোরে, শিশিরে ভেজানো ভোরে,
ঝরে পড়ে অশ্রু দুই বিন্দু।
আকাশ সেজেছে সং, মেখে রামধনু রং,
দৃপ্ত আলোকছটা।
গাহে ভৈরবী গান, পাখীদের কলতান,
নিত্য-নতুন ফুলফোটা।
বর্ষার ঝঙ্কারে, পত্রের মর্মরে,
ছড়ানো ছন্দের সুগন্ধী।
শব্দ নিয়ে দু-হাতে, মুক্ত হৃদয়-গাঁথে,
কাগজ-কলমে যুগলবন্দী।
পরাণের গোঠে পাওয়া, অবিরত এঁকে যাওয়া,
জীবনের এই জলছবি।
স্বপ্নের স্রোতে ভাসে, বাঁধা যেন নাগপাশে,
একত্রে কবিতা ও কবি।।