কর্মব্যস্ত সমস্ত দিন শেষে,
ডাকে পাইলাম পত্রখানি, বাসায় ফিরিয়া এসে।
নিশ্চয় তবে অর্থের অভাবে, এ চিঠি লিখেছে বুঝি,
প্রতিটি শব্দে সেই কথা আমি, আতিপাতি করে খুঁজি।
বার বার করে চিঠি পড়ে দেখি, কই সে তো লেখো নাই।
তুমি ও পুত্র উভয়ে কুশলে, প্রথমে লিখেছো তাই।
তারপরে আছে পিতামাতা, ছোট ভাইবোনেদের কথা,
প্রবাসে আমার খবর নিবারে, তাহাদের ব্যাকুলতা।
বৃদ্ধ পিতার বয়সের ভারে, শরীর পড়েছে নুয়ে,
মাতার শরীরও ভাল যাচ্ছে না, ওদিকে বোনের বিয়ে,
হতে বাকী আছে; এখনও ভায়ের কাজও হয়নি ঠিক,
'ওদিকে তোমার ফিরিবার দেখি, নামগন্ধ নাই, ধিক্!'
ফিরিয়া আসিছ কবে?
বেশি দেরি হলে বিষম বিপদ, একথা জানিবে তবে।
পুত্র তোমার পিতা! পিতা! করে ঘুমাতে চায়না রাতে,
একটা মানুষ! আর কত ভার, নেব এই এক সাথে।
দিয়াছ যে মহাভার,
প্রমাদ গণিও, আমার মরিতে বেশী দেরী নাই আর।
আর কতদিন এইভাবে আমি প্রতীক্ষা করে রব,
এইবারে তবে আমার কথাও একটুখানি ভেব।।