পরিযায়ী - সিদ্ধার্থ সাঁতরা

পুরোনো দিনের মতো ব্যালকনি আলোছায়া রাত
ঝাঁজঘন্টা বেজে উঠতেই এপাড়া ওপাড়া নানাদিকে
নিষিদ্ধ দিনগুলি গোপন ইচ্ছের মতো
ঝাঁপিয়ে এলো শুনশান শহরের বুকে...

বিবর্ণ আকাশ দিগন্ত ছুঁয়ে দিলে কষ্ট লিখে যায় প্রেমিক
পথে সহস্র অনাকাঙ্খিত মুখ সন্তান কোলে পিঠে
কান্না ধুয়ে দিচ্ছে পথ পশ্চিম থেকে পূর্বে
এই অনন্ত শৌখিনতা এখন  আয় ছোঁয়াছুঁয়ি খেলি...

অন্ধকার থাকতে থাকতে বেরিয়ে পড়া সেসব সত্য
পেছনে অনেক নিদ্রাহীন রাত অনিশ্চয়তার দিনগুলি
আক্রান্ত সময় মুখে মাস্ক টেনে নিচ্ছিল সমূহ জীবন
বেরিয়ে পড়েছি আলোর সন্ধানে এসো আত্মকথা লিখি...


সারাদিন নাকমুখ ঢাকা প্রায়ন্ধকার জীবনে
মায়াবী স্বপ্ন ফিরে ফিরে আসে রাত্রির ঘুমে
ঘরই নিরাপদ বন্দিশালা, যেভাবে এখন আছি 
তারচেয়ে চলো যেটুকু আশা তাকে আত্মস্থ করি।

পরিযায়ী মন, অনেক হারানোর দগদগে স্মৃতি
কতদিন ঘরছাড়া কতদিন অনেকের মতো একাকী
রুটি আর ছেঁড়া পোশাকের ছবি রাস্তার ধারে
সবশেষ, হাহাকার পাতার পর পাতা মুদ্রিত আকারে...

Substance : The deserted city nurtures myriad memories of yesteryears. Intense pain engulfs the lover's mind. Thousands of unwanted faces step into the track of uncertainty with hapless children, everyday from west to east. Ugly truths are now unmasked by the memoirs of these nomadic populace. The confinement of domesticity is the only security of the citizens in lockdown. And the nomadic mind bereaves the irretrievable loss on the printed pages.