গোসাপের চর্বি তেল পোড়ায় মহৌষধঃ
প্রবীণরা বলে গোসাপের মাংস যারা খায় তাদের সাধারণত চর্মরোগ হয় না। শিকারীদের বাড়িতে এর চর্বি গলিয়ে বোতলে ভরে রাখে। অনেকদিন সে তেল সংরক্ষিত থাকে। এক-দু বছর । ওরা বলে পুরানো তেল বেশি উপকার দেয়। পুড়ে গেলে পোড়া স্থানে লাগালে মহৌষধ। পোড়া ঘায়ে অত্যম্ত উপকারী।
একটা ঘটনার কথা বলি। সেটা ১৯৮৫ সাল। আমি তখন ঝাড়গ্রাম লোধা সেলের অফিসার। ছুটির দিন থাকায় এক বিকালে গঙ্গাধর মেসোর পাড়ার আড্ডায় বসেছি। মাটি কাটার কাজ শেষে ফিরে ঘরের বাইরের উনুনে রান্না করছিল মাসি। ওরা খায় ভাল। একটা এক কেজির মত রুইমাছ কিনে এনে রান্না করছিল। বাড়ির পাঁচ ছ জন সদস্য। এক কড়া তরকারী টগবগিয়ে ফুটছিল। ওরা বেশি ঝোল খায়। রান্না শেষে তরকারি কড়া অতি সাবধানে ধরে ঘরে ঢোকানোর সময় ঘরের দরজায় ভেতর থেকে ছুটে এল তার ছোট কন্যা (১০ বছর) রেখা। কড়াটা পুরো উল্টা গেল রেখার উপর। গলা থেকে শরীরের নিম্নভাগ ভয়ানক ঝলসে গেল। ছোট প্যান্ট ছাড়া শরীর অনাবৃত ছিল। রেখা ছটফট করে চিৎকার করছিল। সঙ্গে সঙ্গে কান্নাকাটি জুড়ে দিল। আমি সকলকে ডাকাডাকি করে আট কিমি দূরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিলাম। বড়োরা সকলে আমাকে বড় ভালোবাসে। পরামর্শ নেয়। কথা শোনে। মেসো মাসী আমাকে বলল, "বাবু তুর্হা হাউলি বাউলি করিহ না। আমরকার অসুধটা দেখ না। তুর্হাহঁ ত জান অসুধটা।" আমরা দুতিনজন অত্যন্ত উদ্বিগ্ন বোধ করছিলাম। গলা থেকে সারা শরীর মেয়েটার ঝলসে গিয়েছিল, খুব চিৎকার করছিল। দেখলাম মেসোর নির্দেশে জয়দেব, পদ্মা, অলকা, কিনা, শচীন, বাঁঠু জিনিসপত্র যোগাড় করছিল। মাটিতে বড় বড় কলাপাতা বিছিয়ে মেয়েটিকে অনাবৃত করে শুইয়ে দিয়ে সারা শরীর তার গোসাপের তেল বুলিয়ে দিতে থাকল মাসি ও পদ্মা। মেয়ে ছটফট করে চিৎকার করছিল। কিনারাম অলকা তাকে জাপটে ধরে রেখেছিল। যাতে অনাবৃত স্থানে গোসাপের তেল মাখানো যায়। কিছুতেই ওরা রেখাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইল না। অগত্যা ওদের পাশে বসে চিৎকার শুনছি আর কার্যকলাপ দেখছিলাম। ঘন্টা খানেক পরে গোটা ঝলসে যাওয়া শরীরটা ফোস্কা উঠে ফুলে গেল। বাচ্চাটাকে আর চেনা যায় না। বাচ্চাটি অধিক যন্ত্রণায় মুর্ছা যেতে লাগল। ওরা তেলের প্রলেপ দিতেই থাকল। কেউ কেউ ঠাকুর থানে অধ্যা দিল। পাশেই আমার বাড়ি। রাত বারটা একটা পর্যন্ত ওখানে যাওয়া আসা চলতে থাকল। কি করে আর ঘুমাব ! তবু এক ফাঁকে ঘুমিয়ে পড়লাম মনে এক ঝুড়ি উদ্বেগ ও যন্ত্রণা নিয়ে। ভোর হতেই ছুটে গিয়ে দেখলাম মেয়েটি ঘুমুচ্ছে। মেসো হাসি মুখ নিয়ে আমাকে বলল —" জামাইরা দেখ, রেখার যন্ত্রণা কমিই গেছে, উ ঘুমাইয়াঠে। দেখনা ভাল্ করি দিব। সুনিয়া তেল (গোসাপের তেল) পুড়ার বেডি ভাল্ অসুধ। গায়ে একটা পাতলা গামছা ঢাকানো ছিল, তা উঠিয়ে দেখাল গোটা ঝলসে যাওয়া শরীরটার চামড়া ফসকা উঠে ব্যাঙ্ -এর মত ফুলে উঠেছে। দেখে আমার খুব ভয় হল। ক'দিন পর দেখলাম ফসকা ফেটে রসপুঁজ গড়িয়ে পড়তে লাগল। একই ওষুধ (গোসাপের তেল) দিনে তিন চার বার করে প্রলেপ দিতে থাকল। জ্বালা যন্ত্রণা সব চলে গেল। ঘা শুকিয়ে ছাল সব উঠে গেল। গোটা শরীর লাল সাদা ছোপ দাগ হয়ে গেল। দেখলে ভয় পেত। একই ঔষুধের প্রলেপ দেওয়া চলল। মাস দুই পর স্বাভাবিক চামড়া দেখা দিল। বছর খানেক পর দেখলাম পুরো স্বাভাবিক।
গোসাপ শিকারে হাতেখড়ি ঃ
আবার ফিরে যাই কৈশোরে উমেশ মেসোর সঙ্গ পাওয়ার দিনগুলিতে। বাবা পাট কাচার কাজে দূর গ্রামে থাকে। যেমনটা সে তখন বছর কয় ধরে করছিল। ঘরে আমি ও আমার মা। সে বছরটা সম্ভবত ক্লাস সিক্সে পড়ি, কার্তিক মাস। মেসো ক'দিন ধরে আমায় বলছিল —"পাগলারে আমহার সংঘে শিকারে যাবে ?" আমি বলেছিলাম — 'থাম মাউসা, মাইক্যা (মাকে) জিজ্ঞাস করি।' সন্ধ্যাবেলা মাকে জিজ্ঞেস করলাম — 'মাই গো, মাউসা বল্যে বঠ্যে উহার সংগে সুনিয়া (গোসাপ) শিকারে যাত্যে যাব ? মা কিন্তু কিন্তু করে বলল — ইস্কুল আছে যে। তা বাদে শিকারে গেলে অত রাস্তা বন বাদাড় হাঁটতে হব্যেক। সারাদিন ভখ্যে হাঁটতে পারবে ? আমি বলেছিলাম —'রোববারে যাব মা, সকালে পান্ত খাব আর দুটি মুড়্হি (মুড়ি) বান্ধি দিব্যে। পারি যাব।' মায়ের শিকারে যাওয়ার সম্মতিতে মনে বেশ আনন্দ দেখা দিল। মেসোর মত লোকের সাথে অনেক দূরে শিকারে যাব। নিজে গোসাপ ধরার শিক্ষা নেব। নিজে ধরব। নিজের শিকার করে আনা গোসাপের মাংস খাব। কী মজা !
শিকারীরা কেউ খাবার বেঁধে নিয়ে যায় না। আমি বেশ ছোট বলে মা আমার গামছায় কিছুটা মুড়ি বেঁধে দিল। পান্তা ভাত খেয়ে মেসোর সাথে সকালবেলা শিকারে চলে গেলাম। কার্তিক মাসে ধানগাছে ভর্তি মাঠ। এখনকার মত বেঁটে নয়, সেকালের সব লম্বা ধানগাছে মাঠ ভর্তি। আল ঝেঁপে ধানগাছ। মাঠে তখন ধানের বিষ দেওয়া হত না। তাই মাঠে বিষধর সাপেদের দেখা প্রায়শই মিলত। শিকারের জন্য বাড়ি থেকে প্রায় সাত আট কিমি মেঠো আলপথ হেঁটে চলে গেলাম। মেসোর পেছনেই হাঁটছি। মেসো আলের ধারে কাদায় লক্ষ্য করছে গোসাপের পায়ের ছাপ। গোসাপের চারটা পা ও একটা লম্বা (১২-১৫ ইঞ্চি) লেজ। কাদায় পায়ের ছাপ দেখেই শিকারীরা বোঝে কতক্ষণ আগে শিকারটা (গোসাপ বা কাছিম) গেছে বা কোন দিকে গেছে। যদি বোঝে টাটকা ছাপ অর্থাৎ ২০-৩০ মিনিট মধ্যে ঐ ছাপ ফেলে গেছে তখন শিকারী তাকে ধাওয়া করে। শিকারীর ভাষায় শিকারের পায়ের ছাপ হল 'পাঁজ'। পায়ের ছাপ দেখে খোঁজাকে বলে 'পাঁজিঁনি যাওয়া'। এই পাঁজ দেখে একজন 'পাঁজিঁনি' ধাওয়া করে। সঙ্গী শিকারী সামনের জমির ধারে আলগুলি চকিতে ঘুরে পাঁজ লক্ষ্য করে, শিকারটার গতিবিধি লক্ষ্য করে অন্য শিকারীকে সংকেত দিয়ে দেয়। টাটকা পাঁজ ধাওয়া করেই দু-তিন-চারটা জমির ধানবন খুঁজে গোসাপটিকে ধরতে হয়। দেখতে পেলেই শিকারীরা তার মাথা লক্ষ্য করে ঝাঁপিয়ে গলাটা আর লেজটা ধরে নেয়। গলাটা ধরে মুণ্ডটাকে জব্দ না করলে গোসাপ তার ধারালো ও শক্ত দাঁত দিয়ে শিকারীকে কামড়ে চিরে দিতে পারে। প্রাণপণ কামড়ে ধরলে ছাড়ানো খুব মুস্কিল।
বেগুন্যা ও আলিসাগড়ের ধানজমি ও তার পাশে থাকা ঝোপ জঙ্গল মধ্যে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গোটা চারেক গোসাপ ধরে ফেলল মেসো। দুটো বড় দুটো ছোট। গোসাপের ঘাড় ও পা মুড়ে বজ্রমুষ্টির আঘাতে না ভেঙ্গে দিলে তাদের বাগে রাখা মুসকিল। মেসো তাই করল প্রতিটি ধরার সঙ্গে সঙ্গে। শিকার ধরার শেষে বাড়ি ফেরার সময় দুটো ছোট আমার কোমরের গামছায় জড়িয়ে বেঁধে দিল। বাড়ি ফিরতে প্রায় বিকাল সাড়ে চারটা। বড় গোসাপের ওজন এক কেজির বেশি। ছোট এক কেজি বা তার কিছু কম।
সারাদিন অত পথ হেঁটে আমি বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু শিকার পেয়েছি। সন্ধ্যায় মজা করে পেট ভরে মাংস খাব সকলে। শিকার ধরায় আমারও পরিশ্রম যুক্ত হয়েছে। মেসোর শিকার ধরার তালিম পেয়েছি, যদিও প্রথম দিন একটাও ধরিনি। মেসোকে সঙ্গ দিয়েছি। এসব ভেবে মনে বেশ আনন্দ হয়েছিল। কিন্তু ফেরার সময় নিজ গ্রামের কাছাকাছি যখন এসে পড়েছিলাম তখন মনে একটা লজ্জার আশঙ্কা ক্রমশ ঘিরে ধরতে লাগল আমাকে। সহপাঠীরা বা তাদের বাড়ির কেউ যদি গোসাপ কোমরে জড়ানো অবস্থায় আমাকে দেখে ফ্যালে। যদি ওদের কেউ দেখে তো সেটা বড় লজ্জার মনে হল। সন্ধ্যা হতে তখনও কিছুটা বাকি। মেঠো রাস্তায় কাউকে দেখা যাচ্ছিল না। মাঠের পাশেই তো আমাদের বাড়ি। মাঠের শেষে তিন চারটা বাড়ি পেরিয়ে খুবই সন্তর্পনে ঘরে ঢুকে পড়লাম। লজ্জা ভাবটা কেটে গেল। পথের ক্লান্তি নিমেষে উধাও হয়ে মন চাঙ্গা হয়ে গেল।
সে মাসেই আর দুই তিন মেসোর সাথে শিকারে গিয়েছিলাম। পরের বারগুলোতেই নিজেই সুনিয়া (গোসাপ) পেঁজে ধরেও ফেললাম। প্রথমবার গোসাপ ধরায় বেশ ভয় হল। সাহস করে ধরেও ফেললাম। মেসো আমার হাতে ধরা গোসাপটাকে নিজে ধরে ঘাড় পা ভেঙ্গে জালে গুছিয়ে নিল। এভাবেই মেসোর কাছে শিকার ধরার হাতে খড়ি হয়ে গেল। মেসো বলল আমি পয়া ছেলে। সঙ্গে গেলেই ভাল শিকার মেলে। তাই মেসো সঙ্গে নিতে চাইত। তাছাড়া আমি তার সঙ্গী হলেও পর্যাপ্ত মাংস পেতাম বটে কিন্তু চামড়ার মূল্যের ভাগ নিতাম না। শিকারীদের নিয়ম হল যত জন শিকার দলে থাকবে ততজনেরই মাংস ও চামড়ার টাকা সমানভাবে ভাগ হবে। এমনকি যদি কুকুর সঙ্গে যায় তাদেরও ভাগ থাকবে। তাদের কেবল ছাঁট মাংস দিলেই চলবে না। ভাল মাংসও তাদের ভাগে দিতে হবে। অবশ্য মানুষের তুলনায় তাদের মাংস কিছুটা কম দেওয়া হত।
কার্তিক মাসের শেষে গোসাপরা 'গুড়ায়' ঢুকে যায়। অর্থাৎ তারা গর্তের ভেতর ঢুকে যায়। গর্তে ঢুকে ভেতর থেকে পা ও মাথার সাহায্যে গর্তের মুখ ৬-৮ ইঞ্চি পুরু করে মাটির ছিপি লাগিয়ে দেয়। বাইরের থেকে বোঝা মুস্কিল যে ঐ স্থানে গর্ত আছে এবং তাতে কোন সাপ আছে। ঐ গর্তের ভেতর গোসাপরা শীতে ঘুমায়। জ্যৈষ্ঠে ভাল বৃষ্টি হলে 'গুড়া' ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে।
গোসাপদের খাদ্য হল পোকা মাকড় ও বর্ষায় জমি ডোবা পুকুর ও নদী নালায় থাকা ছোট মাছ এবং যে কোন জাতের সাপের বাচ্চা। উইপোকা গোসাপের প্রিয় খাদ্য। জ্যৈষ্ঠ শেষে বা আষাঢ়ে বৃষ্টি হলে উই পোকারা উইঢিবি থেকে বের হয়ে ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়। ঐ উড়ন্ত পোকারা দলে দলে মাটিতে যখন নেমে আসে তখন গোসাপরা দল বেঁধে সে পোকা খায়। উইপোকা ধরে খাওয়ার উৎসব শুরু হয়ে যায়।
পরের বছর অর্থাৎ যখন আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছি সে বছরটা (১৯৬৪ সাল) আমার শিকারে যাওয়ার টানটা বেড়ে গেল। জ্যৈষ্ঠ আষাঢ়ে পাঁড়ুদা, সাধনদা সহ আমি ২/৩ দিন এবং কেনারামদা-শ্রীকান্তদার সঙ্গে দু তিন দিন মধু সংগ্রহ সহ গোসাপ শিকারে গিয়েছিলাম। দুই দলের সঙ্গেই শিকার ও মধু জুটেছিল ভালই। ওদের সঙ্গে গিয়ে আমি নিজেও ভালভাবে গোসাপ ধরার কৌশল রপ্ত করে ফেলেছিলাম।
ঐ বছরটাতে আমার স্কুলে কয়েকজন নূতন শিক্ষক এসেছিলেন। তার মধ্যে শ্রদ্ধেয় অনঙ্গমোহন সিংহ অঙ্ক ও বিজ্ঞান, শ্রদ্ধেয় লক্ষণচন্দ্র প্রধান ইতিহাস ও ইংরাজি গ্রামার পড়াতেন। এঁদের ক্লাস ভারি ভাল লেগে যেতে লাগল। লক্ষণবাবু কড়া ধাতের শিক্ষক হলেও তার পড়ানোটা যেন ক্রমশ টেনে নিতে থাকল। ক্লাসে এ. এবং বি. সেকশন মিলিয়ে একশত জনের বেশি ছাত্র। কিন্তু ওঁরা যেন সকলকেই চেনেন। ঐ বছর স্কুলের হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষার রেজাল্ট বেশ ভাল হল। অনঙ্গবাবুর শিক্ষা দেওয়ার গুণে ভাবতে শুরু করলাম ক্লাস নাইনে উঠে আমি বিজ্ঞান নিয়ে পড়ব। তখন আমি অনিলদার বাড়িতে কোচিং পড়ি। অবশ্য বিনা পয়সায়। বুঝলাম শিক্ষক মশাই যদি মনযোগ দিয়ে পড়ান এবং ক্লাসের ছাত্র যদি তা মনযোগ দিয়ে বোঝে তাহলে বাড়িতে প্রস্তুতির কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। আমার তো সে ভাবেই সাফল্য আসতে লাগল।
সেকালের মাস্টার মশাইগণ বেশিরভাগ অত্যন্ত উঁচু মানের শিক্ষক ছিলেন। ঐ সময়কালের শিক্ষকগণ যেমন ছাত্রদরদি ছিলেন তেমনি শৃঙ্খলাহীন অমনোযোগী ছাত্রদের দুরন্তপনাও কঠোর হাতে দমনে পিছপা ছিলেন না। সে কারণে অনেকের পিঠে চাবুক চলত। এর প্রতিবাদে কখনও কোন অভিভাবকের বিদ্যালয়ে আসা আমি চাক্ষুস করিনি। বাংলার শিক্ষক শিব সাধনবাবু, প্রধান শিক্ষক সরোজাক্ষবাবু আজও আমার স্মরণীয় হয়ে আছেন। নীলমণিবাবু এবং ইকনোমিক্সের কার্তিকবাবুকেও আজো আমার শ্রদ্ধার সাথে মনে পড়ে।