ডায়াবেটিস চিকিৎসা
(Diabetes Treatment)
[ রোগের কারণ, লক্ষণ, এলোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক কবিরাজী চিকিৎসা, যোগব্যায়াম পদ্ধতি এবং খাদ্যাদির তালিকা সম্বলিত ]
ডঃ সাধনচন্দ্র লাহা
ভূতপূর্ব সতযুক্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং
ডঃ চিন্ময় কুণ্ডু এম. বি. বি. এস. (ক্যাল)
প্রকাশক
শ্রীগুরু ট্রেডিং শিয়ালদহ, শিশির মার্কেট
ভূমিকা
বহুমূত্র বা মধুমেহ রোগটি আজকাল বেশ কিছু বিস্তার লাভ করেছে। ইংরাজী বা এলোপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে এই রোগটির নাম হলো ডায়াবেটিস (Diabetes) বাংলা এবং আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর নাম মধুমেহ বা বহুমূত্র।
বর্তমানে এই রোগটির সঙ্গে অনেকে পরিচিত হলেও, এটি কেন হয়, এই রোগ হলে প্রথমাবস্থায় কি কি লক্ষণ দেখা দেয়, দ্বিতীয় অবস্থাতেই বা কি হয়, এবং তৃতীয় বা শেষ অবস্থাতে কি হয়, অনেকেই তা জানেন না।
এই সব লক্ষণগুলি যদি সাধারণ মানুষ জানতে পারেন, তাহলে প্রথম থেকেই তাঁরা সাবধান হতে পারবেন। কিন্তু সে ধরনের বিশেষ কোনও বই, বিশেষতঃ স্বল্পমূল্যের কোনও বই নেই।
এই রোগটির বিস্তারিত বিবরণ চিকিৎসাশাস্ত্রের মোটা মোটা বইগুলির পাতায় আবদ্ধ -আছে। বর্তমান যুগের মানুষ অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত। কাজেই বেশী মূল্য দিয়ে বই কেনার ক্ষমতা মুষ্টিমেয় কিছু লোক ছাড়া সাধারণের ক্ষমতা নেই।
সেই দিক থেকে বিচার করে আমি স্বল্প মূল্যের এই বইখানি প্রণয়ন করার চেষ্টা করেছি। বইখানি ছোট হলেও, রোগের সম্পূর্ণ বিবরণ এতে লিপিবদ্ধ করেছি। কেন এই রোগ হয়, রোগের পরিচয়, রোগের লক্ষণ প্রভৃতি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
মধুমেহ বা ডায়াবেটিস হলে কি ভাবে তার চিকিৎসা করতে হবে। এলোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক ও কবিরাজী শাস্ত্রমতে এ রোগের প্রধান প্রধান ঔষধ কি, কিভাবে তা ব্যবহার করতে হবে, সে সব বিষয় সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে দেবার জন্য ইংরাজী ভাষার সঙ্গে সঙ্গে সহজ সরল বাংলা ভাষাও ব্যবহার করেছি। তার ফলে যে কোনও শহরবাসী বা গ্রামবাসী সাধারণ মানুষ ঔষধগুলির নাম ও তার মাত্রা এবং ব্যবহার বিধি বুঝতে পারবেন। বিশেষ করে এই রোগের প্রধান চিকিৎসা হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ। সেজন্য আমি বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যতালিকাও এতে লিপিবদ্ধ করেছি।
কোন্ খাদ্য প্রতিদিন কতটা পরিমাণ খেলে স্বাস্থ্যহানি হবে না অথচ রোগ উপশম হবে। তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছি। সাধারণে বুঝতে পারার জন্য খুব সহজ সরল বাংলা ভাষা ব্যবহার করেছি।
এছাড়া ব্যায়ামের সাহায্যেও যে মধুমেহ রোগ সারতে পারে তার বিবরণও এই বইটিতে সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
আশা করি, এই বই একখানি ঘরে থাকলে এই রোগগ্রস্ত ব্যক্তি যথেষ্ট উপকার পাবেন, এবং প্রথম থেকেই লক্ষণ দেখে চিকিৎসা করতে পারবেন ঘরে বসেই, সেজন্য বিশেষ প্রয়োজন না হলে ডাক্তারের কাছে ছুটে যেতেও হবে না। বইখানির ভালো মন্দ বিচারের ভার দিলাম পাঠকদের ওপর। তবে এই বইখানির দ্বারা যদি একজনেরও উপকার হয়, শ্রম সার্থক মনে করবো।
ইতি গ্রন্থকার